এই বছরের নভেম্বরের মধ্যে কোভ্যাক্সের আরও সাত কোটি ডোজ টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার (১৪ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনায় এ কথা জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সারাদেশে টিকা কার্যক্রম জোরালো করা হচ্ছে।
সবাই নিয়মিত মাস্ক পরবেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। জীবন-জীবিকার তাগিদে সব খুলে দেওয়া হলেও মনে রাখতে হবে, জীবনের মূল্য অনেক বেশি।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য করোনার টিকার বড় উৎস হয়ে উঠেছে কোভ্যাক্স। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ৮৯ লাখ কোভ্যাক্স টিকা পেয়েছে। সর্বশেষ চালান হিসেবে চীন সরকারের উপহারের আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে।
এ নিয়ে চীন সরকারের উপহারের ২১ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। গত ১২ মে বাংলাদেশকে ৫ লাখ টিকা উপহার দেয় চীন। ১৩ জুন চীনের দ্বিতীয় দফা উপহারের ছয় লাখ টিকা ঢাকায় আসে। আর শুক্রবার তৃতীয় দফায় এলো চীনা উপহারের ১০ লাখ টিকা। এ নিয়ে চীন সরাসরি উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ২১ লাখ টিকা দিয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, ভারত আমাদেরকে টিকা বন্ধ করে দেওয়ার পর বাংলাদেশের সামনে এখন টিকার উৎস তিনটি, প্রথমত: চীনের কাছ থেকে কেনা, দ্বিতীয়ত: কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া এবং তৃতীয়ত: রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা। উল্লেখ্য, বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সমভাবে করোনার টিকা বণ্টন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০২০ সালের এপ্রিলে কোভ্যাক্স জোট গঠিত হয়। এ পর্যন্ত ১৬৫টি দেশ কোভ্যাক্সের সদস্য হয়েছে। উন্নত দেশ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, ব্যক্তি ও ফাউন্ডেশনের অনুদানে টিকা সংগ্রহ করে কোভ্যাক্স।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।